Friday, December 9, 2016

Can Radiation Give You Superpowers???

In the movie 'Hulk' we can see that the man become hulk after getting Gamma radiation into his body.
Is it possible??
Typically in comic books, the transition to superhuman power involves exposure to radiation. Peter Parker gets bitten by a radioactive spider and can suddenly crawl on ceilings. Matt Murdock, a.k.a. Daredevil, gets splashed with radioactive juice and can hear through walls. But a new video from the American Chemical Society’s Reactions highlights the extreme unlikelihood of such scenarios.


As the video explains, radiation is everywhere. When you hug your friends, heat radiation emanates from their arms and onto your skin. Switch on a bike lamp, and light radiation illuminates your path. Turn on Spotify or the radio, and sound radiation pumps jams into your ears. On a basic level, radiation is any energy that travels through space in the form of waves or particles. Here on Earth, we typically encounter radiation in the three forms mentioned above: heat, visible light and sound, but in most cases, we aren’t harmed by radiation because its energy and intensity levels are too low.
To acquire superpowers, you would need a place steeped in high-energy radiation. Such a source lurks 600 to 12,000 miles outside Earth in the van allen radiation belt, where the planet’s magnetic field traps radioactive particles, like gamma rays created by solar wind or cosmic rays from other galaxies. (Our atmosphere shields most of these comics). A radioactive particle is an unstable atom that spews energy in an attempt to restore balance. If the energy level is strong enough, then it can pass through solid barriers, like our skin, and cause changes in our DNA.
In many superhero origin stories, those mutations lead to superhuman abilities, but that situation is unlikely in the real world, as University of Nebraska physicist Dan Claes explains in the Reactions video.
Claes says that the main barrier is the human body’s exorbitant number of cells. For the The Human Torch to gain his ability to become a fireball, each of his 75 trillion cells would need to mutate in the exact same way, he says. Even if a person traveled through the Van Allen belt, where they’d be pelted with 15 million cosmic rays per second, one couldn’t guarantee that happening.
When you take deeper look, superpowers become really unfeasible. The DNA helix is like a train track with rails made of chemicals called base pairs. There are 3 billion base pairs in the human genome. So let’s say somewhere in that genome, there is one base pair responsible for Human Torchism. The odds of mutating that single base pair in all of your cells would be close to one in a septillion (1 followed by 24 zeros).
At the same time, your body would be fighting back. High-energy radiation can physically snap the DNA helix or create deletions in the tracks, but cells come with repair systems to fix these mistakes. Or when they reach the point of no return, cells can commit a sort of suicide, a process known as apoptosis. (When these failsafes fall short, genetic disorders like cancer can occur).
Ok, so a full-body superpower is out, but what about something simpler like supervision?
In human eyes, colors are perceived by three light sensors in the eye called cones, but birds have an extra, mutated cone that detects ultraviolet light. In 2013, a study showed that this trait is due to a single mutation and had evolved at least 14 different times among the world’s bird species. The odds for supervision are still against you. Even if you developed an extra cone today, as at lleast one human there’d be no guarantee that your brain could comprehend the visual information or that you’d be able to describe the sensation to others.
Can gamma radiation give somone superpowers??
here is the youtube link..
watch the explanation from a expert

The Hawking-Bekenstein Entropy Formula for a Black Hole

This formula has four fundamental constant of nature: 
                         
  • G- universal gravitational constant.
  • c- speed of light.
  • k- boltzman constant.
  • h- plank constant.   
   A is the surface area of the event horizon.

➤The Bekenstein-Hawking entropy or black hole entropy is the amount of entropy that must be assigned to a black hole in order for it to comply with the laws of thermodynamics as they are interpreted by observers external to that black hole. This is particularly true for the first and second laws. Black hole entropy is a concept with geometric root but with many physical consequences. It ties together notions from gravitation, thermodynamics and quantum theory, and is thus regarded as a window into the as yet mostly hidden world of quantum gravity.
It seems to connect quantum mechanics, statistical mechanics, and gravity in simple fashion. This formula hints about a deep theory of quantum gravity, and has motivated lot of research on black holes in the light of quantum gravity.
Stephen Hawking

Prof. Bekenstein


Tuesday, December 6, 2016

Monday, December 5, 2016

ক্রিস্টাল ঘড়ি



আমরা অনেকেই হাতঘড়ি পড়ে থাকতে ভালোবাসি। সময়কে নিয়ে অনেকের মাথাব্যথা না থাকলেও অনেকেই হাতঘড়ির ব্যাপারে খুবই সৌখিন। কিন্তু সমস্যা হল আমাদের হাতের ঘড়ি কি সবসময়ই সঠিক সময় দিচ্ছে? কখনও দেখা যায় সেটি ভুল সময় দেখাচ্ছে। তা এনালগ ঘড়িই হোক কিংবা ডিজিটাল ঘড়িই হোক। আবার ঘরের ঘড়িগুলি উল্টো পাল্টা সময় দিলে পুরো পরিবারের সবাই ভুল সময়ে চলবে। আমার ঘরে একটি অনেক পুরানো একটি দেয়াল ঘড়ি রয়েছে যা কিছুদিন পরেই ১০/১৫ মিনিট দ্রুত সময় দেখায়। তাই কিছুদিন পরেই সময়টি সঠিক করে দিতে হয়। অন্য একটি ঘরে আরেকটি ঘড়ি রয়েছে যেটির ব্যাটারি কিছুদিন পর পরেই পরিবর্তন করতে হয়। সামান্য একটি ঘড়ি এত ব্যাটারি খায় কেন, সেটাই রহস্য।

ঘড়ির সময় সঠিক সময় দেখানোর জন্য অনেক প্রযুক্তি বের হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোন প্রযুক্তিই নেই যা সময়কে একেবারেই সঠিকভাবে দেখাবে। ঘড়িতে নুন্যতম কোন ভুল হবেনা। সাধারণত এনালগ ঘড়ির যন্ত্রাংশগুলি অনেক ধরনের ধাতু দিয়ে তৈরি করা হয়। তাই সেগুলি তাপমাত্রার সাথে সাথে তার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য পরিবর্তন করে। গ্রীষ্মকালে কিংবা শীতকালে ঘড়িতে ভুল সময় দেখাতে পারে। আবার ডিজিটাল ঘড়ি যেগুলি ইলেকট্রনিক্স সার্কিটের মাধ্যমে চলে তাও সার্কিটের সীমাবদ্ধতার কারণে সময়ের তালে তালে সময় ভুল দেখাতে পারে।
ঘড়ির সময় ভুল হলে তা সঠিক করে নেবার জন্য একটি প্রচলিত পদ্ধতি হল রেডিও সিগনাল গ্রহণ করে ঘড়ি সময় নিজে নিজেই ঠিক করে নেয়। অনেক দেশই এই সঠিক সময় বিভিন্ন জায়গা তেকে রেডিও সিগনালে গ্রহণ করে নেয়। আমাদের বাপদাদা-দের দেখেছেন হয়তো সংবাদের সময় তাদের ঘড়ির সময় সঠিক করে নিতেন।



যদিও ঘড়ির এই ভুলগুলি খুব খুবই সামান্য যা আমরা সাধারণত খেয়াল করিনা। এক সেকেন্ডের কয়েক হাজার ভাগের এক ভাগ! তা বলুন কেই বা খেয়াল করবে? কিন্তু আমরা খেয়াল না করলেও বিজ্ঞানীরা কিন্তু থেমে নেই। তারা এখনও চেষ্টা করছে কিভাবে এমন ঘড়ি তৈরি করা সম্ভব হবে যার সময় কখনই ভুল হবেনা। কিছুদিন আগে নতুন একটি আবিষ্কার বিজ্ঞানীদের সাড়া দিয়েছে। এমন একটি নতুন ক্রিস্টাল আবিষ্কৃত হয়েছে যা সময় সঠিক ভাবে পরিমাপ করবে। আমেরিকার লরেন্স বার্কলে গবেষণাগারের প্রোফেসর জিয়াং জাং (Xiang Zhang) ও তার টিম এমন একটি ক্রিস্টাল তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন যা সময়কে সঠিকভাবে মাপতে পারবে। এই ধরনের ক্রিস্টালকে স্থান-সময় ক্রিস্টাল (space-time crystal) বলে। তবে এই ধরনের ক্রিস্টালের সম্ভাবনার কথা নোবেল পুরষ্কার বিজয়ী এমআইটি’র বৈজ্ঞানিক ফ্রাঙ্ক উইলজেক (Frank Wilczek) ২০১৩ এর শুরুর দিকে বলেছিলেন। কিন্তু তখনও তিনি বলতে পারেননি কিভাবে এমন ক্রিস্টাল তৈরি করা যেতে পারে। তার কল্পনার ক্রিস্টালটি তৈরি করতে সমর্থ হলেন প্রোফেসর জিয়াং এর গ্রুপ। ,

সাধারণ ক্রিস্টাল যেমন লবণ শুধু মাত্র ত্রিমাত্রিক গঠন করে কিন্তু এই নতুন ক্রিস্টাল চতুর্থ মাত্রা “সময়” ক্ষেত্রেও সিমিট্রিক গঠন করে।



আশা করা যায় অদূর ভবিষ্যতে আমাদের হাত ঘড়িতে এমন ক্রিস্টাল ব্যবহার করা হবে এময় সময় সম্পূর্ণভাবে সঠিকভাবে মাপা যাবে। আর হয়তো বলা যাবেনা, হাত ঘড়ি স্লো ছিল তাই দেরী হয়ে গেল।

You must know this 17 Equations That Changed the World


Wednesday, October 12, 2016

সঠিক সময়ের ঘড়ি(The Most Accurate Time Watch)

আমরা অনেকেই হাতঘড়ি পড়ে থাকতে ভালোবাসি। সময়কে নিয়ে অনেকের মাথাব্যথা না থাকলেও অনেকেই হাতঘড়ির ব্যাপারে খুবই সৌখিন। কিন্তু সমস্যা হল আমাদের হাতের ঘড়ি কি সবসময়ই সঠিক সময় দিচ্ছে? কখনও দেখা যায় সেটি ভুল সময় দেখাচ্ছে। তা এনালগ ঘড়িই হোক কিংবা ডিজিটাল ঘড়িই হোক। আবার ঘরের ঘড়িগুলি উল্টো পাল্টা সময় দিলে পুরো পরিবারের সবাই ভুল সময়ে চলবে। আমার ঘরে একটি অনেক পুরানো একটি দেয়াল ঘড়ি রয়েছে যা কিছুদিন পরেই ১০/১৫ মিনিট দ্রুত সময় দেখায়। তাই কিছুদিন পরেই সময়টি সঠিক করে দিতে হয়। অন্য একটি ঘরে আরেকটি ঘড়ি রয়েছে যেটির ব্যাটারি কিছুদিন পর পরেই পরিবর্তন করতে হয়। সামান্য একটি ঘড়ি এত ব্যাটারি খায় কেন, সেটাই রহস্য।

ঘড়ির সময় সঠিক সময় দেখানোর জন্য অনেক প্রযুক্তি বের হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোন প্রযুক্তিই নেই যা সময়কে একেবারেই সঠিকভাবে দেখাবে। ঘড়িতে নুন্যতম কোন ভুল হবেনা। সাধারণত এনালগ ঘড়ির যন্ত্রাংশগুলি অনেক ধরনের ধাতু দিয়ে তৈরি করা হয়। তাই সেগুলি তাপমাত্রার সাথে সাথে তার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য পরিবর্তন করে। গ্রীষ্মকালে কিংবা শীতকালে ঘড়িতে ভুল সময় দেখাতে পারে। আবার ডিজিটাল ঘড়ি যেগুলি ইলেকট্রনিক্স সার্কিটের মাধ্যমে চলে তাও সার্কিটের সীমাবদ্ধতার কারণে সময়ের তালে তালে সময় ভুল দেখাতে পারে।
ঘড়ির সময় ভুল হলে তা সঠিক করে নেবার জন্য একটি প্রচলিত পদ্ধতি হল রেডিও সিগনাল গ্রহণ করে ঘড়ি সময় নিজে নিজেই ঠিক করে নেয়। অনেক দেশই এই সঠিক সময় বিভিন্ন জায়গা তেকে রেডিও সিগনালে গ্রহণ করে নেয়। আমাদের বাপদাদা-দের দেখেছেন হয়তো সংবাদের সময় তাদের ঘড়ির সময় সঠিক করে নিতেন।



যদিও ঘড়ির এই ভুলগুলি খুব খুবই সামান্য যা আমরা সাধারণত খেয়াল করিনা। এক সেকেন্ডের কয়েক হাজার ভাগের এক ভাগ! তা বলুন কেই বা খেয়াল করবে? কিন্তু আমরা খেয়াল না করলেও বিজ্ঞানীরা কিন্তু থেমে নেই। তারা এখনও চেষ্টা করছে কিভাবে এমন ঘড়ি তৈরি করা সম্ভব হবে যার সময় কখনই ভুল হবেনা। কিছুদিন আগে নতুন একটি আবিষ্কার বিজ্ঞানীদের সাড়া দিয়েছে। এমন একটি নতুন ক্রিস্টাল আবিষ্কৃত হয়েছে যা সময় সঠিক ভাবে পরিমাপ করবে। আমেরিকার লরেন্স বার্কলে গবেষণাগারের প্রোফেসর জিয়াং জাং (Xiang Zhang) ও তার টিম এমন একটি ক্রিস্টাল তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন যা সময়কে সঠিকভাবে মাপতে পারবে। এই ধরনের ক্রিস্টালকে স্থান-সময় ক্রিস্টাল (space-time crystal) বলে। তবে এই ধরনের ক্রিস্টালের সম্ভাবনার কথা নোবেল পুরষ্কার বিজয়ী এমআইটি’র বৈজ্ঞানিক ফ্রাঙ্ক উইলজেক (Frank Wilczek) এই বছরের শুরুর দিকে বলেছিলেন। কিন্তু তখনও তিনি বলতে পারেননি কিভাবেই এমন ক্রিস্টাল তৈরি করা যেতে পারে। তার কল্পনার ক্রিস্টালটি তৈরি করতে সমর্থ হলেন প্রোফেসর জিয়াং এর গ্রুপ। ,

সাধারণ ক্রিস্টাল যেমন লবণ শুধু মাত্র ত্রিমাত্রিক গঠন করে কিন্তু এই নতুন ক্রিস্টাল চতুর্থ মাত্রা “সময়” ক্ষেত্রেও সিমিট্রিক গঠন করে।



আশা করা যায় অদূর ভবিষ্যতে আমাদের হাত ঘড়িতে এমন ক্রিস্টাল ব্যবহার করা হবে এময় সময় সম্পূর্ণভাবে সঠিকভাবে মাপা যাবে। আর হয়তো বলা যাবেনা, হাত ঘড়ি স্লো ছিল তাই দেরী হয়ে গেল।

Friday, October 7, 2016

স্থান-সময় ক্রিস্টাল ( Space-time crystal)


কিছুদিন আগে নতুন একটি আবিষ্কার বিজ্ঞানীদের সাড়া দিয়েছে। এমন একটি নতুন ক্রিস্টাল আবিষ্কৃত হয়েছে যা সময় সঠিক ভাবে পরিমাপ করবে। আমেরিকার লরেন্স বার্কলে গবেষণাগারের প্রোফেসর জিয়াং জাং (Xiang Zhang) ও তার টিম এমন একটি ক্রিস্টাল তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন যা সময়কে সঠিকভাবে মাপতে পারবে। এই ধরনের ক্রিস্টালকে স্থান-সময় ক্রিস্টাল (space-time crystal) বলে। তবে এই ধরনের ক্রিস্টালের সম্ভাবনার কথা নোবেল পুরষ্কার বিজয়ী এমআইটি’র বৈজ্ঞানিক ফ্রাঙ্ক উইলজেক (Frank Wilczek) ২০১৩ এর শুরুর দিকে বলেছিলেন। কিন্তু তখনও তিনি বলতে পারেননি কিভাবে এমন ক্রিস্টাল তৈরি করা যেতে পারে। তার কল্পনার ক্রিস্টালটি তৈরি করতে সমর্থ হলেন প্রোফেসর জিয়াং এর গ্রুপ। সাধারণ ক্রিস্টাল যেমন লবণ শুধু মাত্র ত্রিমাত্রিক গঠন করে কিন্তু এই নতুন ক্রিস্টাল চতুর্থ মাত্রা “সময়” ক্ষেত্রেও সিমিট্রিক গঠন করে। 

গতিশীল যানবাহন থেকে দেখলে কাছাকাছি চারপাশের দৃশ্য ঘুরছে বলে মনে হয় কেন?

আমরা যখন কোন বিশাল ফাঁকা মাঠের পাশ দিয়ে দ্রুতগামী বাস বা ট্রেনে চড়ে যাই তখন মনে হয় মাঠটি যেন আমাদের গতির বিপরিত দিকে ঘুরছে। গতিশীল অবস্থায় আমাদের এ ধরনের দৃষ্টি বিভ্রম হয়ে থাকে। গতিশীল পর্যবেক্ষকের এ ধরনের দৃষ্টি বিভ্রমের গানিতিক বিশ্লেষন নিয়ে আজ আমরা আলোচনা করব। গতিশীল অবস্থায় এমনটি মনে হওয়ার কারণবাসের গতি সাপেক্ষে বাসের গতিপথ থেকে দুরতম বিন্দুগুলোর সাথে বাসের দুরত্ব পরিবর্তনের হার ক্রমান্বয়ে হ্রাস পেতে থাকে।


ধরাযাক বাসটি একজন পর্যবেককে নিয়ে r ব্যসার্ধের একটি কাল্পনিক বৃত্তের স্পর্শক গতিপথ (P1-P2) ধরে এগোচ্ছে (চিত্র নং-১)। বাসটি বৃত্তের স্পর্শ বিন্দু A হতে একক দুরত্ব অতিক্রম
করে B বিন্দুতে পৌছুলো। বাসটি যখন A বিন্দুতে ছিল তখন
বাসের সঙ্গে কাল্পনিক বৃত্তের কেন্দ্র (O) বিন্দুর দুরত্ব OAবৃত্তের ব্যসার্ধের সমান। বাসটি একক দুরত্ব অতিক্রম করে B বিন্দুতে পৌঁছানোর পর বৃত্তের কেন্দ্রের সাথে বাসের দুরত্ব
OB যা বৃত্তের ব্যসার্ধের চেয়ে কিছুটা বৃদ্ধি। এই বৃদ্ধিকে আমরা d ধরি। বাসটি বৃত্তের ষ্পর্শ বিন্দু A হতে একক দুরত্ব অতিক্রম করে B বিন্দুতে আসার ফলে AOB একটি সমকোনী ত্রিভূজের সৃষ্টি করে। (বৃত্তের স্পর্শক রেখা বৃত্তের কেন্দ্রের সাথে সমকোন তৈরী করে। ) সমকোনী ত্রিভূজ AOB তে পীথাগোরাসের সূত্র প্রয়োগ করে আমরা পাইঃ

 OB2 = OA2+AB2
or, (r + d) 2   =   r2 + 1
or, (r + d)     =  √(r^2+1)
or,       d      =  √(r^2+1) - r …………(1)
১ নং সমীকরনে r এর বিভিন্ন মানের জন্য d এর মান নির্ণয় করলে ( টেবিল-১ ) দেখা যায় r এর মানের বৃদ্ধিতে d এর মান হ্রাস পায়। আবার r এর মান যতই বেড়ে যায় d এর মান পরিবর্তনের হার ততই কমতে থাকে।

 
টেবিল -১ : r এর মানের পরিবর্তনের ফলে d এর মানের পরিবর্তন (গানিতিক ও লেখচিত্রের মাধ্যমে)
অর্থাৎ বাসের একক দুরত্ব অতিক্রমের ফলে বাস থেকে নিকটতম বিন্দুসমুহের তুলনায় দুরতম বিন্দু সমুহের দুরত্বের পরিবর্তন হচ্ছে কম। এভাবে r এর মান যখন খুব বেশি হয় দুরত্বের পরিবর্তনের হার এতটাই কমে যায় যে সাধারণ চোখে তা আর ধরা পড়ে না। অপরদিকে নিকটতম বিন্দুগুলোর সাথে বাসের দুরত্ব দ্রুত পরিবর্তনের ফলে নিকটতম বিন্দুগুলোর পশ্চাৎবেগ লক্ষনীয় হয়ে ওঠে। মনে হয় নিকটের সবকিছু পিছে সরে যাচ্ছে। অপরদিকে দুরের গাছপালা,বাড়িঘর এর সাথে পর্যবেক্ষকের দুরত্ব পরিবর্তনের হার প্রায় শূণ্য হয়ে যায়। ফলে মনে হয় দুরের সবকিছু আমাদের সাথেই চলছে। এতে সার্বিক ভাবে মনে হয় মাঠটি আমাদের গতির বিপরিত দিকে ঘুরছে।


কৃষ্ণ বিবর এর অনেক কিছু (MANY THINGS ABOUT BLACK HOLE)



আমাদের অবস্থান কোথায় ? অর্থাৎ এই পৃথিবী নামক গ্রহটি মহাবিশ্বের কোথায় অবস্থিত ? এর উত্তর খুজা শুর হয়েছে অনেক পূর্ব থেকেই ।কিন্তু শেষ পর্যন্ত— দেখা যাচ্ছে এই বিশাল মহাবিশ্বে পৃথিবী নামক গ্রহ খুঁজে বের করা সম্ভব নয় ।

বৃহৎ বিস্ফোরণ মহাবিশ্বের আরম্ভের অনন্যতা অনুসারে এই বিশাল মহাবিশ্ব সৃষ্টি হয়েছে একটি বিস্ফোরণের মাধ্যমে ।যার বয়স প্রায় তের থেকে পনের হাজার কোটি বছর ।মহা বিস্ফোরণ থেকে সৃষ্টি প্রায় দশ হাজার কোটি গ্যালক্সি নিয়ে মহাবিশ্বের বর্তমান অবস্থান । এসব গ্যালাক্সি আবার হাজার হাজার নক্ষত্রের সমন্বয়ে গঠিত ।এ রকমই একটি গ্যালাক্সি মিল্কিওয়ে বা আকাশ গঙ্গা ।ধারনা করা হয় এই মিল্কিওয়ে গ্যালক্সিতে প্রায় বিশ হাজার কোটি নক্ষত্র রয়েছে ।এই বিশ হাজার কোটি নক্ষত্রের মধ্যে একটি হল সূর্য ।যাকে কেন্দ্র করে আমরা বেঁচে আছি ।বেঁচে আছে পৃথিবীর প্রাণীকূল এবং উদ্ভিদকূল ।প্রতিটি গ্যালাক্সির প্রতিটি নক্ষত্র তাদের নিজস্ব আলোয় আলোকিত ।এসব নক্ষত্রের আবার কোনটার আলো রঙিন, কোনটার রয়েছে বিচিত্র বর্ণলী ।এই আলো দেখে আমরা মনে করি নক্ষত্রগুলি অর্থাৎ তারা গুলি জ্বলছে-নিভছে ।তারা গুলি জ্বলছে-নিভছে মনে করার কারণ এগুলো স্থির নয় ।আসলে যেগুলো জ্বলছে-নিভছে বলে মনে হয় সেগুলো তারা বা নক্ষত্র আর যেগুলো স্থির বলে মনে হয় সেগুলো গ্রহ বা উপগ্রহ ।

মহাবিশ্বে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন তারার জন্ম হচ্ছে ।সুতরাং তারার সঠিক হিসাব পাওয়া সত্যিই কষ্টসাধ্য ব্যাপার।তবে সকল বিজ্ঞানীই তারা গুলোকে ফুটবলের মতো গোলক বলে ধারণা করেন।

এখন প্রশ্ন হল এই তারা গুলো কী ? কি উপায়ে তৈরী হয় ? এর শেষই বা কোথায়? এই প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজে পেলে আমাদের কাঙ্ক্ষিত উত্তর খুঁজে পাব ।

আমাদের কাঙ্ক্ষিত প্রশ্নটি হল- “ব্ল্যাক হোল বাকৃষ্ণবিবর”

ব্ল্যাক হোল হল এমন এক বিবর বা গহ্বর যেখানে কোন মহাকাশযান পড়লে আর বেরিয়ে আসতে পারেনা ।অর্থাৎ ব্ল্যাক হোলের সীমানায় কোনোকিছু পড়ে গেলে সেখান থেকে ফিরে আসা অসম্ভব ।ব্ল্যাক কহোলের মধ্যাকর্ষণ শক্তি এতই প্রবল যে সেথান থেকে মহাকাশযান বা বস্তু বেরিয়ে আসাতো দূরের কথা আলোকে রশ্মি পর্যন্ত বেরিয়ে আসতে পারেনা ।ব্ল্যাক হোলের মধ্যে যদি কোনো মানুষ পড়ে তাহলে তাঁর মাথা থেকে পা এই সামান্য ব্যাবধানের মধ্যে এত বেশি মধ্যকর্ষণ শক্তি কাজ করবে যার কারনে মুহূর্তের মধ্যে তাকে ছিড়ে টুকরো টুকরো করে ফেলবে । তাঁর অবস্থা হবে ছেড়া ছেড়া সেমাইয়ের টুকরোর মত ।এই ব্ল্যাক হোলকেই মহাকাশের দানব বলে আখ্যায়িত করা হয় ।

কৃষ্ণ বিবর বা ব্ল্যাক হোল কী বা সেটা কিভাবে তৈরী হয় তা জানতে হলে প্রথমে জানতে হবে তারকার জীবন চক্র অর্থাৎ তারকা কি উপায়ে তৈরী হয়?

বিভিন্ন রঙের উপর ভিত্তিকরে ন¶ত্রকে চার ভাগে ভাগ করা যায়।যথাঃ-

১. হলুদ প্রধান সারি

২. কমলা প্রধান সারি

৩. সাদাপ্রধান সারি

৪. নীল প্রধান সারি

আবার তারার অবস্থার উপর ভিত্তি করে আরো কয়েক ভাগে ভাগ করা যায়।যেমনঃ-

১. লোহিত বামন

২. শ্বেতবামন

৩. লোহিত দানব

৪. শ্বেত দানব

৫. হলুদ দানব

৬. নীল দানব

প্রত্যেকটি তারাই আমাদের এই সুন্দর পৃথিবী থেকে বহু দূরে।এসব তারার কোনটির আলো অনেক বছর পর পৃথিবীতে এসে পৌছেছে।আবার কোন তারার আলো এখন পর্যন্ত পৃথিবীতে এসে পৌছায়নি।কয়েক বছর থেকে কয়েক লক্ষ বছর লাগতে পারে এসব তারার আলো পৃথিবীতে পৌছাতে । আবার এমন ও তারার আলো দেখছি যেগুলো অনেক আগেই ধ্বংস হয়ে গেছে।

এসব নক্ষত্র তারা দেখতে ছোট-বড়, গোলাকার, ত্রিভুজাকার যাই মনে হোক না কেন এদের ভিতরের কার্যকলাপ সম্পূর্ণ রাসায়নিক বিষয়।নক্ষত্র উৎপন্ন হয় নীহারিকা থেকে।এসব নীহারিকা আবার হাইড্রোজেন গ্যাস ও ধূলিকণার বিশাল ভান্ডার।এই হাইড্রোজেন গ্যাসই হচ্ছে নক্ষত্রের গঠন রহস্যর মূল উপাদান।যখন বৃহৎ পরিমান হাইড্রোজেন গ্যাস নিজস্ব মহাকর্ষীয় আকর্ষণের চাপে নিজের উপরেই চুপসে যেতে থাকে তখই সৃষ্টি হয় একটি তারকার।তারকাটি ধীরে ধীরে সঙ্কুচিত হতে থাকে।সঙ্কুচিত হবার সঙ্গে সঙ্গে বায়ুর পরমাণু গুলি খুব নিকটে আসতে শুর করে।ধীরে ধীরে পরমাণু গুলি এত বেশি ঘন হয় এবং এত দ্রুতিতে পারষ্পরিক সংঘর্ষ হতে থাকে, ফলে বায়ু উত্তপ্ত হয়।এমতাবস্থায় চাপ খুব প্রবল থাকে।শেষ পর্যন্ত বায়ু এত বেশী উত্তপ্ত হয় যে, হাইড্রোজেন গ্যাসের সংঘষের্র ফলে পরমাণু গুলি দূরে ছিটকে যাওয়ার কথা।কিন্তু দূরে ছিটকে না গিয়ে সংযুক্ত হয়ে হিলিয়াম গ্যাসে পরিনত হয়।এই প্রক্রিয়াটি একটি নিয়ন্ত্রিত হাইড্রোজেন বোমা বিস্ফোরণের মত।হাইড্রোজেন বোমা বিস্ফোরিত হলে যে রকম তাপ নিগর্ত হয় ঠিক তদ্রুপ হিলিয়াম পরমাণু সৃষ্টির ফলে বিপুল পরিমাণে তাপ নির্গত হয়।আর এই জন্যই তারকাটি আলোক বিকিরণ করে।এই বাড়তি উত্তাপ বায়ুর চাপকে ধীরে ধীরে আরো বাড়িয়ে তোলে।যখন বায়ুর চাপ এবং মহকর্ষীর আকর্ষণ প্রায় সমান হয়ে যায় তখনই বায়ুর সংকোচন বন্ধ হয়।পারমাপবিক প্রক্রিয়া থেকে উদ্ভূত তাপ এবং মহাকর্ষীয় আকর্ষণের ভারসাম্যের ফলে তারকাগুলি বহুকাল পর্যন্ত সুস্থিত থাকে।শেষ পর্যন্ত কিন্তু তারকাটির হাইড্রোজেন এবং অন্যান্য জ্বালানি ফুরিয়ে ও যায়।এখানে একটি ব্যাপর ঘটে যেটা হল শুরুর পর্যায়ে তারকাটির জ্বালানী যত বেশী থাকে ফুরিয়ে যায় তত তাড়াতাড়ি, এর কারন তারকার ভর যত বেশী হয় মহাকর্ষীয় আকষণের সঙ্গে ভারসাম্য রক্ষার জন্য তারকাটিকে তত বেশী উত্তপ্ত হতে হয়।

আর তারকাটি যত বেশী উত্তপ্ত হবে তার জ্বালানী তত তাড়াতাড়ি ফুরিয়ে যাবে।আর একটি তারকার জ্বালানী ফুরিয়ে গেলে সেটা ধীরে ধীরে শীতল হতে থাকে এবং সঙ্কুচিত হতে থাকে।তখন সেই তারকার কী হয় বা কী ঘটে?

এই প্রশ্নের উত্তর পাওয়া গিয়েছিল ঊনিশশো কুড়ির দশকের শেষের দিকে ঊনিশশো আটাশ সালে।এর সমাধান করেছিলেন ভারতের একজন গ্রাজুয়েট ছাত্র যার নাম সুব্রহ্মান্যান চন্দ্রশেখর (Subrahmanyan chandrasekhar) . তিনি কেম্ব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে স্যার আর্থার এডিংটনের কাছে পড়বার জন্য যখন জাহাজ করে ইংল্যন্ডের দিকে রওয়ানা হন তখন তিনি অঙ্ক কষে বের করেছিলেন যে ব্যবহারের ফলে যখন একটি তারকার সমস্ত জ্বালানী ফুরিয়ে যায় তখন নিজের মহাকর্ষের বিরুদ্ধে নিজেকে বহন করতে হলে একটি তারকার ভর কত হতে হবে?

তার চিন্তাটি ছিল এ রকম- তারকা যখন ধীরে ধীরে ক্ষুদ্র হয়ে যায় তখন তারকার সমস্থ পদার্থ কণিকাগুলো খুব কাছাকাছি এসে যায় , সুতরাং পাউলির অপবর্জন তত্ত্ব (একটি পরমাণুতে অবস্থানরত ইলেকট্রনগুলোর নিজেদের মধ্যে অন্তত পক্ষে একটি কোয়ান্টাম সংখ্যার মান ভিন্ন থাকতেই হবে) অনুসারে তাদের বিভিন্ন গতিবেগ হওয়া আবশ্যিক ।এজন্য কণিকাগুলো পরস্পর থেকে দুরে চলে যেতে থাকে । যার ফলে তারকাগুলিতে প্রসারণের চেষ্টা দেখা দেয়।ঠিক যেমন তারকাটির জীবনের শুরুতে মহাকর্ষীয় তত্ত্বের সঙ্গে ভারসাম্য রক্ষা করেছিল উত্তাপ । তেমনি মহাকর্ষীয় আকর্ষণ এবং অপবর্জন তত্ত্ব ভিত্তিক বিকিষর্ণের ভারসাম্য রক্ষিত হলেই তারকাটি তার নিজস্ব ব্যাসার্ধ অপরিবতির্ত রাখতে পারে।কিন্তু চন্দ্রশেখর বুঝাতে পেরেছিলেন অপবর্জন তত্ত্ব ভিত্তিক বিকর্ষণের একটি সীমা আছে ।আইনস্টাইনের অপেক্ষবাদ তারকাটির ভিতরকার সমস্ত পদার্থ কণিকাগুলির গতিবেগের পার্থক্যের সীমা বেঁধে দিয়েছে ।এই সীমা হল আলোকের দ্রুতি ।অর্থাৎ তারকাটি যথেষ্ট ঘন হলে অপবর্জন তত্ত্বভিত্তিক বিকর্ষণ মহাকর্ষীয় আকর্ষণের চাইতে কম হবে ।চন্দ্রশেখর হিসাব করে দেখেছিলেন শীতল তারকার ভর অর্থাৎ তারকার জ্বালানী ফুরিয়ে যাওয়ার পর সৃষ্ট শীতল তারকার ভর আমাদের সূর্যের ভরের দেড় গুণের চাইতে বেশী হলে সে নিজের মহাকর্ষের আকর্ষণ হতে নিজেকে রক্ষা করতে পরবেনা ।[বলে রাখা আবশ্যক যে , সূর্যের ভর 1.9891×1030 kg ] ।যদি তারকাটি নিজের মহাকর্ষ আকর্ষণ হতে নিজেকে রক্ষা করতে না পারে তাহলে তার পরিণতি কী হবে? এই প্রশ্নের উত্তর একটু পরেই আলোচনা করছি।

উনিশশো কুড়ির দশকের শেষের দিকে চন্দ্রশেখর এবং রুশ বিজ্ঞানী লেভ ডেভিডোভিচ ল্যান্ডো তারকার ভর নিয়ে কাজ করছিলেন । চন্দ্রশেখর দেখালেন শীতল তারকার ভর যদি সূর্যের ভরের দেড় গুণের চাইতে বেশী হয় তাহলে সেটি নিজেই নিজেকে রক্ষা করতে পারবেনা।এই ভরের সীমাকে চন্দ্রশেখর লিমিট বলা হয়।কিন্তু একসময় চন্দ্রশেখরের শিক্ষক আর্থার এডিংটন চন্দ্র শেখর লিমিটকে মানতে নারাজ হন ।চন্দ্রশেখর ছিলেন ব্যাপক অপেক্ষবাদ সম্পর্কে একজন বিশেষজ্ঞ।কথিত আছে তাদের সময়ে তিনজন ব্যক্তি অপেক্ষবাদ খুব ভাল করে বুঝাতেন।সেই তিনজন হলেন আইনস্তাইন , আর্থার এডিংটন এবং চন্দ্রশেখর । চন্দ্রশেখরের গবেষণাকে যখন তারাই শিক্ষক মানতে নারাজ হলেন তখন তিনি এই ক্ষেত্র পরিত্যাগ করেন।তারপর জ্যোতিবিজ্ঞানের অন্যক্ষেত্রে গবেষণা শুরু করেন।কিন্তু ১৯৮৩ সালে তাঁর এই গবেষণার জন্যই তাকে নোবেল পুরস্কারে ভূষিত করা হয়।

একটি তারকার ভর যদি চন্দ্রশেখর সীমার চাইতে কম হয় বা সূর্যের ভরের সমান হয় তাহলে সেই তারকাকে অল্পভর সম্পন্ন তারকা বলে। এরূপ তারকার জ্বালানী ফুরিয়ে গেলে কেন্দ্রে মহাকর্ষজনিত সংকোচনের ফলে প্রচন্ড উত্তাপের সৃষ্টি হয়।এ উত্তাপের ফলে বাইরের এলাকা স্ফীত হয়ে এটি একটি রক্তিম দৈত্যে অর্থাৎ রেড জায়ান্টে পরিণত হয় । এক পর্যায়ে রক্তিম দৈত্যের বাইরের আবরণ কেন্দ্রীয় অংশ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। অর্থাৎ তখন তারকাটি সম্ভাব্য অন্তিম দশায় পরিণত হয়।এই অন্তিম দশা বা বাইরের আবরণ বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর যে কেন্দ্রিয় অংশ থাকে সেই কেন্দ্রিয় অংশকে হোয়াইট ডোয়ারফ বা শ্বেত চামন বলে।শ্বেত বামন বা হোয়াইট ডোয়ার্ফের ব্যসার্ধ হয় কয়েক হাজার মাইল আর ঘনত্ব হয় প্রতি বর্গ ইঞ্চিতে কয়েকশ টন।শ্বেত বামনের নিজ পদার্থের ভিতরকার ইলেকট্রনগুলির অন্তর্বর্তী অপবর্জন তত্ত্বভিত্তিক বিকর্ষণই একটি শ্বেত বামনকে রক্ষা করে।প্রথম যে কয়টি এই ধরনের তারকা আবিষ্কার হয়েছিল তার ভিতরে একটি হল সিরিয়াস নামক তারকা । সিরিয়াস রাতের আকাশের উজ্জল তারকা ।

আমাদের সূর্যের জ্বালানী ফুরিয়ে যেতে এখনো প্রায় পাঁটশো কোটি বছরের প্রয়োজন। অর্থাৎ আরো পাঁচশো কোটি বছর পর আমাদের এই সূর্য রক্তিম দৈত্যে , তারপর শ্বেত বামনে পরিণত হতে পারে।কিন্তু লেভ ডেভিডোভিচ ল্যান্ডো তারকার সম্ভাব্য আরো একটি অন্তিম দশার দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন।তিনি দেখিয়েছিলেন কিছু কিছু তারকার ভরের সীমা সূর্যের এক কিংবা দুই গুণের ভিতরে কিন্তু আকারে এরা শ্বেত বামনের চাইতেও ছোট।এই তারকা গুলিকেও রক্ষা করে অপবর্জন তত্ত্বভিত্তিক বিকর্ষণ । কিন্তু এই বিকর্ষণ আন্ত নিউট্রন এবং প্রোটনের তবে আন্ত ইলেকট্রনের নয় । সেজন্যে এগুলোকে বলা হয় নিউট্রন তারকা । সেগুলোর ব্যাসার্ধ হয় মাত্র দশ মাইলের মতো।কিন্তু তাদের ঘনত্ব হয় প্রতি ঘন ইঞ্চিতে কোটি কোটি টন।

কোন তারকার ভর যদি চন্দ্রশেখর লিমিটের চাইতে বেশী হয় তাহলে তার পরিণতি এক পর্যায়ে ব্ল্যাক হোল বা কৃষ্ণ বিবরে পরিণত হবে।এই কৃষ্ণবিবর বা ব্ল্যাক হোল শব্দাটির উৎপত্তি খুব সম্প্রতি ।১৯৬৯ সালে জন হুইলার নামে একজন আমেরিকান বিজ্ঞানী এই শব্দটি ব্যবহার করেন।

সূযের্র চেয়ে অনেকগুণ বেশী ভরসম্পন্ন তারকাকে বেশী ভরসম্পপ্ন তারকা বলা হয়।এ ধরনের তারকার জ্বালানী ফুরিয়ে গেলে তারকা গুলিকে বিরাট সমস্যায় পড়তে হয়।কোন কোন ক্ষেত্রে জ্বালানি ফুরিয়ে যাবার পর মহাকষর্ণ জনিত সংকোচন খুব বেশী বৃদ্ধি পায়।ফলে প্রচণ্ড উত্তাপের সৃষ্টি হয় এবং তারকাটি বিস্ফোরিত হয়।একেই বলে সুপার লোভ বিস্ফোরণ ।আবার কোন কোন ক্ষেত্রে তারা নিজেদের ভর সীমার ভেতরে নিয়ে আসবার মতো যথেষ্ট পদার্থ পরিত্যাগ করতে সক্ষম হয়।এই পদার্থ পরিত্যাগ করার পর অবশিষ্ট যে ভর থাকে তার মান অনুযায়ী দুই রকম ফল পাওয়া যেতে পারে।ভর যদি দুই সৌরভরের চেয়ে বেশী হয় তাহলে সেটি সাধারণত একটি ব্ল্যাকহোলে পরিণত হবে।এই ব্ল্যাকহোলের আয়তন সসীম কিন্তু ভর প্রায় অসীম । এ কারণে ঘনত্ব, অভিকর্ষজ ত্বরণ মুক্তিবেগ ইত্যাদিও প্রায় অসীম।কৃষ্ণ বিবরের মহাকর্ষীয় আকর্ষণ এত প্রবল যে কোন বস্তু এর মধ্যে প্রবেশ করলে বা নাগালের মধ্যে আসলে আর বাইরে আসতে পারেনা।এমনকি আলোক কণিকা ফোটন ও এই আকর্ষণ থেকে মুক্ত হতে পারে না।কৃষ্ণ বিবর থেকে নির্গত কোন প্রকার ফোটন বা আলোক রশ্মি বেশি দূর যাওয়ার আগেই কৃষ্ণ বিবরের মহাকর্ষীয় আকর্ষণ তাকে টেনে পেছনে নিয়ে আসবে।

ঘটনাটি এই রকম- তারকার মহাকর্ষীয় ক্ষেত্র স্থান কাল আলোক রশ্মির গতিপথের পরিবর্তন করে।অর্থাৎ তারকাটি না থাকলে যে গতিপথ হওয়ার কথা ছিল তার তুলনায় অন্য রকম হয়।যে আলোক শঙ্কুগুলি স্থান কালে তাদের অগ্র ভাগ থেকে নির্গত আলোকের গতিপথ নির্দেশ করে তারকার পৃষ্ঠের কাছাকাছি সেগুলো ভেতরদিকে সামান্য বেঁকে যায়।তারকাটি যেমন ধীরে ধীরে সঙ্কুচিত হতে থাকে তার মহাকর্ষীয় ক্ষেত্রও ধীরে ধীরে শক্তিশালী হতে থাকে।আর মহাকর্ষীয় ক্ষেত্র যত বেশী শক্তিশালী হবে আলোক রশ্মি ততবেশী বেঁকে যাবে।এর ফলে আলোকের নির্গত হওয়া আরো কঠিন হয়ে পড়ে।শেষ পর্যন্ত তারকাটি যখন সঙ্কুচিত হয়ে একটি বিশেষ ক্রান্তিক ব্যাসার্ধপ্রাপ্ত হয় তখন পৃষ্ঠের মহাকর্ষীর ক্ষেত্র এমন শক্তিশালী হয় যে আলোক শঙ্কু ভিতর দিকে বেঁকে যায়।সেই বক্রতা এত বেশী হয় যে আলোক আর সেখান থেকে নির্গত হতে পারে না।

মহাকর্ষীয় আকর্ষণে আলোক আটকে যাওয়ার এ ধারণাটি প্রথম প্রকাশ করেন বৃটিশ ভূ-তত্ত্ববিদ জন মিচেল ১৭৮৩ সালে।তিনি বিজ্ঞানী হেনরি ক্যাভেন্ডিসকে চিঠির মাধ্যমে জানান বিপুল পরিমাণ ভর বিশিষ্ট কোন বস্তু, যার মহাকর্ষের প্রভাবে আলোক তরঙ্গ পর্যন্ত পালাতে পারেনা।তারপর একই মতবাদ প্রকাশ করেন ফরাসি গণিতবিদ ও জ্যোতিবিজ্ঞানী পিয়েরে সিমো লাপ্লাস ১৭৯৬ সালে।

কিন্তু তাদের এই ধারণাটি প্রকটভাবে উপেক্ষিত হয়।কারণ সবার বোধগম্য হয়নি যে, আলোর মত ভরহীন তরঙ্গ কিভাবে মধ্যাকর্ষণ শক্তি দ্বারা প্রভাবিত হবে।

বোধগম্যহীন জটিল এই সমস্যার চূড়ান্ত সমাধান হয় নোবেল পুরস্কার বিজয়ী জার্মান পদার্থবিদ বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনষ্টাইনের আপেক্ষিকতা তত্ত্ব আবিষ্কারের মাধ্যমে।তবে আপেক্ষিকতা তত্ত্ব আবিস্কারের পূর্বেই মধ্যাকর্ষণ শক্তি দ্বারা আলোর গতি প্রভাবিত হওয়ার ব্যাপারটি প্রমাণিত হয়েছিল।

অপেক্ষবাদ অনুসারে আলোকের চেয়ে দ্রুতগামী কিছু হতে পারেনা । সুতরাং কৃষ্ণবিবর থেকে আলোকই যদি মুক্ত হতে না পারে তাহলে আর কিছুই মুক্ত হতে পারবেনা।এর মহাকর্ষীয় ক্ষেত্র সবকিছুকে টেনে পেছনে নিয়ে যাবে।

অতি বিশাল, কালো আর শক্তিশালী এই কৃষ্ণ বিবরের কোন প্রত্যক্ষ প্রমাণ এখন পর্যন্ত বিজ্ঞানীদের হাতে এসে পৌছায়নি।যেহেতু কৃষ্ণ বিবর থেকে কোন প্রকার বস্তু বা আলোক রশ্মি বেরিয়ে আসতে পারেনা তাই কৃষ্ণ বিবরের অনুপস্থিতির ব্যাপারে এটা ও একটা কারণ হতে পারে।তবে বিজ্ঞানীরা কৃষ্ণ বিবরের উপস্থিতির ব্যাপারটা নির্ধারণ করেন কোন স্থানের নক্ষত্রের গতি ও দিক গবেষণা করে।কৃষ্ণ বিবরের সীমানাকে বলা হয় ঘটনা দিগন্ত আর কৃষ্ণ বিবরের ব্যাসার্ধকে বলা হয় সোয়ার্জশিল্ড ব্যাসার্ধ (বিজ্ঞানী কার্ল সোয়ার্জশিল্ড এর নামানুসারে কৃষ্ণ বিবরের ব্যাসার্ধের নামকরণ করা হয়েছে সোয়ার্জশিল্ড ব্যাসার্ধ । উনিশশ ষোল সালে তিনি বিজ্ঞানী আইন স্তাইনের “ফিল্ড ইকোয়েশন ” নিয়ে কাজ করতে গিয়ে এই ব্যাসার্ধের প্রস্তাব করেন ) ।সোয়ার্জশিল্ড ব্যাসার্ধ প্রাপ্ত হয় তখনই যখন কোনো তারকা ক্রান্তিক ব্যাসার্ধ প্রাপ্ত হয় ।

কৃষ্ণ বিবরকে ভাগ করা হয় তার মাঝে থাকা ভর, আধান , কৌণিক ভরবেগের উপর ভিত্তি করে।অনেক কৃষ্ণ বিবর আছে যাদের শুধু ভর আছে কিন্তু আধান বা কৌণিক ভরবেগ নেই । এগুলোকে বলা হয় সোয়ার্জ শিল্ড কৃষ্ণ বিবর । ভরের উপর ভিত্তি করে বলা যায় চার ধরনের কৃষ্ণ বিবরের কথা।যেমন-

১. Super Massive Blackhole (সুপার মেসিভ ব্ল্যাকহোল)

২. Intermediate Blackhole (ইন্টারমিডিয়েট ব্ল্যাকহোল)

৩. Steller Blackhole (মাইক্রো ব্ল্যাকহোল)

৪. Micro Blackhole (মাইক্রো ব্লাকহোল)

এ সকল কৃষ্ণ বিবর ছাড়া চার্জড ব্লাকহোল (Charged Blackhole), রোটেটিং ব্লাকহোল (Rotating Blackhole) এবং ষ্টেশনারী ব্লাকহোলের (Stationary Blackhole) বর্ণনা পাওয়া যায় ঝথাক্রমে- Reissner-Nordstrom metric , Kerr metric এবং Kerr-Newman metric এর সাহায্যে ।

বর্তমানে এই ব্ল্যাকহোল নিয়ে পদার্থবিজ্ঞানী ষ্টিফেন ডব্লিউ হকিং তাঁর “এ ব্রিফ হিস্টরী অফ টাইম” বইয়ে বিভিন্ন ভাবে ব্যাখ্যা করেছেন।যা প্রমাণিত হলে যুগান্তকারী সৃষ্টি বলে প্রমাণিত হবে এই পৃথিবীতে।

Sunday, September 25, 2016

ঈশ্বর কণা এর পর ডার্ক ম্যাটার

চার দশকেরও বেশি অপেক্ষার পর দেখা মিলেছে গড পার্টিকেল বা ঈশ্বর কণার। এর পর গবেষকেরা কি হাত গুটিয়ে বসে থাকবেন?
সুইজারল্যান্ডের ইউরোপিয়ান কাউন্সিল ফর নিউক্লিয়ার রিসার্চের (সার্ন)  গবেষকরা ঈশ্বর কণা বা হিগস বোসন কণার অনুরূপ একটি কণা আবিষ্কারের ঘোষণা দেওয়ার পর লার্জ হ্যাড্রন কোলাইডার নামের যন্ত্রে নতুন এক গবেষণা শুরু করার পরিকল্পনা করেছেন।
ঈশ্বর কণার গবেষণায় ক্ষান্ত দিয়ে এবার তাঁরা ছুটবেন আরও একটি রহস্যময় বিষয়ের সমাধান খুঁজতে। তাঁর খুঁজবেন ‘ডার্ক ম্যাটার’ ও ডার্ক এনার্জির কারণ ও স্বরূপ, যা এই মহাবিশ্ব-রহস্যের জট খুলতে সাহায্য করবে তাদের। এক খবরে টেলিগ্রাফ এ তথ্য জানিয়েছে।
পদার্থবিজ্ঞানীদের ধারণা, ‘এই মহাবিশ্বকে একত্রে ধরে রেখেছে একটি শক্তি আর এই বিষয়টিই হতে পারে সেই ডার্ক ম্যাটার। সব খানেই আমাদের ঘিরে রেখেছে ডার্ক ম্যাটার অথচ আমরা ডার্ক ম্যাটারের কোনো অস্তিত্ব টের পাই না। এর কারণ ডার্ক ম্যাটার থেকে কোনো আলোর বিচ্ছুরণ, প্রতিফলন বা আলো তৈরি হয় না। এই ডার্ক ম্যাটার পুরো বিশ্বের ৮৪ শতাংশ দখল করে রেখেছে।’
গবেষকেরা আশা করছেন, লার্জ হ্যাড্রন কোলাইডার ব্যবহার করেই তাঁরা ডার্ক ম্যাটার তৈরি করতে সক্ষম হবেন। অবশ্য এ জন্য তাঁদের ১০ গুণ বেশি শক্তিশালী কণার বিম বা রশ্মি ব্যবহার করে পরস্পরের মধ্যে সংঘর্ষ ঘটাতে হবে। সার্ন কর্তৃপক্ষ তাঁদের পরিকল্পনা অনুমোদন করেছেন।
গবেষকেরা জানিয়েছেন, চলতি বছরের শেষ নাগাদ হিগস বোসন কণা নিয়ে আরও গবেষণা চলবে। এরপর মেরামত ও আধুনিক প্রযুক্তি যুক্ত করতে এলএইচসি দেড় বছরেরও বেশি সময় বন্ধ রাখা হবে। তাঁরা আশা করছেন, ২০২০ সাল নাগাদ এলএইচসিকে আধুনিক প্রযুক্তির সমন্বয় করে ‘সুপার এলএইচসি’তে রূপ দেওয়া হবে, যা দুর্লভ কণার সন্ধান দিতে সক্ষম হবে।

Saturday, September 24, 2016

তাপমাত্রার হঠাৎ পরিবর্তনই ডাইনোসরের বিলুপ্তির কারণ

পৃথিবীর বুক থেকে অতিকায় প্রাণী ডাইনোসর মুছে গেলো কিভাবে? এ নিয়ে গবেষকদের নানা মত আছে। এত দিন পর্যন্ত সবচেয়ে স্বীকৃত মতবাদটি ছিল, সাড়ে ছয় কোটি বছর আগে পৃথিবীর সঙ্গে এক ধূমকেতুর ভয়ানক সংঘর্ষে ডাইনোসরদের অস্তিত্ব বিপন্ন হয়ে পড়ে এবং এক সময় সম্পূর্ণ অবলুপ্ত হয়ে যায়। কিন্তু সম্প্রতি একদল গবেষক দাবি করেছেন, ব্যাপারটা আদৌ তা নয়। পৃথিবীর তাপমাত্রার হঠাৎ পরিবর্তনই ঐ আদিম প্রাণীদের মুছে দিয়েছে এই গ্রহ থেকে। 
বৃটেনের গবেষক দলের মতে, ১৩ দশমিক ৭ কোটি বছর আগে পৃথিবীর জলবায়ুতে গুরুত্বপূর্ণ কিছু পরিবর্তন হয় যা শুরু হয়েছিল সমুদ্রের তাপমাত্রা ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমে যাওয়ার মধ্যে দিয়ে। এরপর একে একে আরও কয়েক ধাপ পরিবর্তন ঘটে যা বিশালকায় প্রাণীরা সহ্য করতে পারেনি। নরওয়ের আর্কটিক সালবার্ডে ফসিল ও খনিজ পদার্থের উপর পরীক্ষা চালাতে গিয়ে তারা এই বিষয়টি জানতে পেরেছেন। অতলান্তিক উপসাগরীয় অঞ্চলে ক্রিটেসিয়াস পর্বে এই জলবায়ু পরিবর্তনই ডাইনোসরের অস্তিত্ব একেবারে নিশ্চিত করে দেয়। 
গবেষক দলের নেতা প্লিমাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রেগরি প্রাইস জানিয়েছেন, তাপমাত্রা হঠাৎ কমে যাওয়ার ঘটনা যখন ঘটেছিল তখন পৃথিবীর আবহাওয়া ছিল ঠিক আজকের মতেই গ্রিনহাউস গ্যাসে ভর্তি। তাপমাত্রা এতটাই হঠাৎ করে কমে গিয়েছিল যে তা গরম পরিবেশে বসবাস করা ডায়নোসরদের সহ্য হয়নি। ডায়নোসররা ঠান্ডা রক্তের প্রাণী। ওদের বেঁচে থাকার জন্যে যে গরম আবহাওয়ার প্রয়োজন তা নষ্ট হয়ে যাওয়ায় বাঁচতে পারেনি তারা। ধীরে ধীরে পৃথিবী থেকে অবলুপ্ত হয়ে যায়। গবেষকদের মতে, পরিবেশে অতিরিক্ত কার্বন ডাই অক্সাইড জমে যাওয়ার ফলে তাপমাত্রা হঠাৎ কমে গিয়েছিল।\\